তীব্র গরম সম্পর্কে যা বলেছেন রাসুল সা.

অতিরিক্ত গরম বা শীত মানুষের কষ্ট ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় জাহান্নামের আজাবের কথা। মহানবী (সা.) এই বিষয়টিকে লক্ষ করেই বলেছেন, শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিশ্বাস থেকে।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরম ও শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো।’ (বুখারি: ৩২৬০)

আরব দেশের মরু এলাকায় উত্তপ্ত বালু ও মরুঝড়ের কারণে সেখানে লু হাওয়া বইতো ও প্রচণ্ড গরম দেখা দিত। এজন্য নবি (সা.) জোহর কিছুটা দেরি করে পড়তেন। এ জন্য প্রচন্ড গরমে দেরিতে জোহর পড়া সুন্নত। হযরত আবু জর গিফারী (রা.) বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। একসময় মুয়াজ্জিন জোহর নামাজের আজান দিতে চেয়েছিলেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘গরম কমতে দাও।’ কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে রাসুল (সা.) বললেন, ‘গরম কমতে দাও।’ এভাবে তিনি এত বিলম্ব করলেন যে আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। এরপর রাসুল (সা.) বললেন, ‘গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর সালাত আদায় করো।’ (বুখারি: ৫৩৯)

সুতরা প্রচন্ড গরমে জাহান্নামের কথা মনে করে আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে পানাহ চাওয়া উচিত।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।